- চাটখিল প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবের ভাতিজা পরিচয়ে সাংবাদিকে হত্যার হুমকি থানায় অভিযোগ
- নোয়াখালীর হাতিয়ায় গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল
- চাটখিলে ব্যাপক শোডাউন করে মেয়র মোহাম্মদ উল্যাহর মনোনয়ন পত্র জমা
- সেই অসহায় বৃদ্ধর পাশে চাটখিল ঐক্য কল্যান পরিষদ
- চাটখিলে মানব সেবা সংঘের ৪র্থ বর্ষ পুর্তিতে উপজেলা প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে সংবর্ধনা
- চাটখিলে ইশা ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রেজাউল করিম সেক্রেটারী মেহেদী হাসান
- বসুর হাট পৌরসভা নির্বাচনে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।
- চাটখিলে স্বেচ্চাসেবী সংগঠনের মানব সেবা সংঘ (সিংবাহুড়া) এর ৪র্থ বর্ষ পুর্তি উপলক্ষে র্যালির আয়োজন।
- পথশিশুদের স্কুল “আলোর দিশারীর” শততম দিন উদযাপন
- সোনাইমুড়িতে ভালোবাসায় ব্যর্থ হয়ে যুবকের আত্মহত্যা
অবশেষে কারাগারে আলোচিত হিরো আলম
আলোকিত নোয়াখালী: alokitonoakhali | সংবাদ টি প্রকাশিত হয়েছে : ০৭. মার্চ. ২০১৯ | বৃহস্পতিবার

বগুড়ায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পেটানোর মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার আলোচিত আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করলে বিচারক আহমেদ শাহরিয়ার তারিক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় বুধবার রাতে গ্রেফতার হন হিরো আলম।
বগুড়া সদর থানায় পুলিশের হেফাজতে থাকা হিরো আলম সকালে বলেন, তার বিরুদ্ধে শ্বশুরের করা মামলাটি সাজানো ও ভিত্তিহীন। তার দাবি, তিনি পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের শিকার।
হিরো আলম বলেন, আমি সত্য বলতে কখনো ভয় পাই না আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে দ্বিধা করি না। অনেক আগে থেকেই ডিশের ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল আমার শ্বশুর পক্ষের লোকজন। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে যৌতুকের মিথ্যে অভিযোগ তুলে, স্ত্রীকে নির্যাতনের নাটক সাজিয়ে আমাকে নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসিয়েছে।
তিনি বলেন, তাছাড়া বিগত নির্বাচনে প্রশাসনের অনিয়ম আর ভোট চুরির প্রতিবাদ করেছিলাম। বড় বড় কর্তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলাম। আমাকে মামলায় ফাঁসানোর নেপথ্যে এসব বিষয়ও কাজ করেছে।
হিরো আলম বলেন, আমি সিনেমা ও মডেলিং করি। অধিকাংশ সময় বাইরে থাকতে হয়। আমার ডিশের ব্যবসার আয়-উপার্জন সবকিছুই স্ত্রী সাদিয়া বেগম ওরফে সুমিকে (২৪) ছেড়ে দিয়ে রেখেছিলাম। কোনো যৌতুক চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। উল্টো আমার অবর্তমানে অন্যের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এর প্রতিবাদ করায় স্ত্রীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার বাড়িতে হামলা করে। টাকা পয়সা লুট করে। ভাঙচুর করে। আমাকে মারধর করে।
তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করি। পরদিন পুলিশ সালিসের নামে থানায় ডেকেছে, আমি ন্যায় বিচারের আশায় পুলিশের ডাকে বুধবার রাতে স্বেচ্ছায় থানায় এসেছি। অথচ আমার কথা পাত্তা না দিয়ে অদৃশ্য শক্তির চাপে শ্বশুরের সাজানো অভিযোগটা মামলা হিসেবে রেকর্ড করে আমাকে সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। পুলিশ দুই পক্ষের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করতে পারতেন। কিন্তু অদৃশ্য চাপে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।
হিরো আলম বলেন, এভাবে সাজানো মামলায় আমাকে কারাগারে আটকে রেখে আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করা যাবে না। কেউ বিশ্বাস করবে না, যে স্ত্রীকে ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে রেখেছি, তাকে মাত্র দুই লাখ টাকার জন্য হিরো আলম নির্যাতন করবেন।